ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে জেলার ভূঞাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় আমন মৌসুমের ধানের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলবাসী নানাবিধ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়া নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ৩৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হবে।
উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনা নদী চরাঞ্চলের বাসিন্দা আব্দুল করিম মন্ডল বলেন, যমুনা নদীতে প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন যেভাবে পানি বাড়ছে, এভাবে বাড়লে কয়েকদিনের মধ্যে পানি ঘরে প্রবেশ করবে। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলে রোপণ করা বিভিন্ন শাক-সবজি তলিয়ে গেছে। এছাড়া নতুন পানির আগমণে পোকা-মাকড়ের উৎপাত বেড়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় ৩৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। আরও বেশ কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। পাশাপাশি ভাঙনরোধে বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।