স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু বাড়বে, ক্লাস্টার জোন কোনগুলো; সেগুলো আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা প্রতিদিন সিটি করপোরেশনকে জানাচ্ছে। কোন জায়গায় মশা বেশি, আমরা কিন্তু ওই এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দিয়েছি। লম্বা বেল্ট করে শনির আখড়া থেকে বাড্ডা পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পুরো এলাকায় মশা বেশি, এই পুরো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। এই তথ্য প্রতিদিনই দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সিডিসি তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে অনেক আগেই শেয়ার করেছে। এখন বাকিটা তারা ম্যানেজ করবেন।’
সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রটোকল একটাই। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে বলা হয়েছে। সাড়া বছর ধরেই চিকিৎসকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলে। আমরা সারা দেশে একই গাইডলাইন একই প্রটোকল অনুসরণ করতে বলেছি। চিকিৎসকরা যেন প্রটোকলের বাইরে অন্য চিকিৎসা না করে। তাতেই রোগী ভালো থাকবে। যাদের কো-মরবিডিটি আছে যেমন ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন, ক্যানসার আছে তাদের ডেঙ্গু হলে অবশ্যই হাসপাতালে আসতে হবে। না হলে সেই রোগীকে সামাল দেওয়া যাবে না।’
মুগদা হাসপাতালে রোগীর চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করতে চেয়েছি। কিন্তু যাদেরই বলেছি, সবার একই কথা— আমাদের বাড়ি এখানে, আমার বাড়ি কাছে, আশেপাশে, অন্যদিকে যেতে পারবো না। মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে জনবল দেওয়া হয়েছে। সেখানে বেড খালি আছে। এই তথ্য প্রচার করে জনগণকে অবহিত করুন। এক হাসপাতালের উপর সব চাপ পড়লে রোগীদের জন্য কষ্ট হয়ে যাবে, মাটিতে চিকিৎসা নিতে হবে। আমরা এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা চাই একটি রোগীও মাটিতে চিকিৎসা না পাক।
এসময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শামিউল ইসলাম, উপপরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।