রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ রোগীর সঙ্গে চলছে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাও
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ রোগীর সঙ্গে চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাও। এতে সাধারণ রোগীরাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এতে আতঙ্কিত অন্য রোগী ও স্বজনরা।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগী অনেকেই মশারি ছাড়া শুয়ে আছেন, নেই আলাদা ইউনিট।
রাঙামাটি সদর হাসপাতাল সূত্র থেকে জনা যায়, রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ১০ জুন থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে শুরু করে। জুলাই মাসের ১৫ তারিখ
পর্যন্ত রোগী সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে হঠাৎ বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
রাহাত মাহমুদ ও মো. শাকিল বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসার আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেই। সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে থাকতে হচ্ছে।
সাধারণ রোগীর স্বজন নাছির উদ্দিন বলেন, অনেক ডেঙ্গু রোগী তারা বেশিরভাগ সময় মশারি ছাড়া থাকছেন। অন্য রোগের চিকিৎসা নিতে এসে নতুন করে ডেঙ্গু
রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এতে সবাই অতঙ্কিত।
জেলা জেলা সিভিল অফিস সূত্র থেকে জানা যায়, শহরের বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। মশক নিধনের জন্য এই বিষয়ে পৌরসভাকে জানানো হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে জমে আছে পানি। অপরিষ্কার অবস্থায় ড্রেন, বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাড়ির ফুলের টপে থাকছে
পানি জমে। যা থেকে বংশবিস্তার করছে এডিস মশা।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, ‘৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে দ্বিগুনের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। বর্তমানে
ডেঙ্গু রোগীর চাপও কম। তাই আলাদা ইউনিট চালুর কোনও চিন্তা নেই। রোগীর চাপ আরও বাড়লে সেক্ষেত্রে চিন্তা করা যেতে পারে।’
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী বলেন, রাঙামাটিতে যেসব রোগী ভর্তি হয়েছে তারা বেশিরভাগ বাইরে থেকে আসা। ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা। আমাদের কীটতত্ত্ববিদ শহরের বিভিন্ন জয়গায় এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা সেটি নিয়ে কাজ করছে।’