রাজধানীর মালিবাগে গত ২১ জুলাই মধ্যরাতে যুবলীগকর্মী অলিউল্লাহ রুবেলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে শনিবার (২২ জুলাই) রাতে রাজধানীর উত্তরারা থেকে মো. আদনান আসিফ (২০) ও মো. শাকিলকে (২০) গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেলকে হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় তারা।
আজ সোমবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নিহত যুবলীগ নেতা রুবেল মালিবাগ এলাকায় সপরিবারে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি শান্তিবাগে ইন্টারনেট ও ডিমের পাইকারি ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি পানির ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। মূলত, এসব কারণে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহজালাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
র্যাব জানায়, এই শত্রুতার জেরেই ২০ জুলাই শাহজালালের নির্দেশে কয়েকজন মিলে রুবেলকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন রাত ১১টায় রুবেলের বাসায় যাওয়ায় রাস্তার গলির মুখে ও আশপাশে অবস্থান নেয় আসিফ, শাকিল, হাবিব, সানি, আলিফসহ অন্যরা। এরপর রুবেল সামনে এগিয়ে গেলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রুবেলের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় তারা। তখন রুবেল বাঁচার জন্য কিছুদূর দৌড়ে মালিবাগ বাজার রোডের একটি বাড়ির সামনে আসলে হাবিব ও তার দল রুবেলকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মাথা, দুই হাত, পা, পিঠসহ সারা শরীরে কোপাতে থাকে এবং ভিকটিমের পায়ের পাতা কুপিয়ে শরীর হতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনার পরদিন শাকিল ও আসিফ এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং অন্যরা কুমিল্লার দিকে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনায় রুবেলের স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।