রাজধানীর পল্লবী থানার আদর্শ নগর এলাকায় মাকে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে মেয়ের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত কিশোরীর নাম বৈশাখী (১৫)। আর তার মায়ের নাম লাভলী।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে কালশী আদর্শ নগর ১১ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর দাবি, ২১ নম্বর চারতলা বাড়িটির মালিক লাভলী। তার বিরুদ্ধে দুটি মাদক মামলা আছে। মাঝে-মধ্যেই পল্লবী থানা পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে টাকা দাবি করে। রবিবারও এক লাখ টাকা নিয়ে যায় পুলিশ। সোমবার (২৪ জুলাই) লাভলীর বাসায় পুলিশ গিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় তাকে নির্যাতন করা হয়। এ সময় পল্লবী থানা পুলিশের সামনেই ওই কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
বৈশাখীর মামা সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে আমার বোন লাভলীর বাসায় গিয়ে তার কাছে কোনো মাদক না পেলেও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখায় পুলিশ। মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তিনি আরও বলেন, লাভলী ৫০ হাজার টাকা দিলেও তাকে নির্যাতন করে পল্লবী থানার এসআই জহিরুল ও ফেরদৌস। এ দৃশ্য দেখে আমার ভাগ্নি কষ্টে পুলিশের সামনেই আত্মহত্যা করে।
ঘটনার পর পুলিশ সদস্যদের আটকে রেখে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। পরে তাদের উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রাত ১১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করে পুলিশ। মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা জানান, আত্মহত্যা করা বৈশাখী ও তার মা মাদক কারবারে জড়িত। সে দরজা আটকিয়ে আত্মহত্যার অভিনয় করতে গিয়ে মারা যায়। স্থানীয়রা দরজা ভেঙে তাকে বের করে। আমাদের কাছে মাদক উদ্ধারের ভিডিও আছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে আগামীকাল দেখানো হবে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।