• শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
গাজায় নির্বিচার ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক শারীরিক অবস্থার অবনতি খালেদা জিয়ার, মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান গাড়ির ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ৭০ ভাগ বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও পঞ্চগড়ে কমছে না শীতের দাপট ৪.১ শতাংশ বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দিলো বিশ্বব্যাংক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েল থেকে মুক্তি ৯৫ ফিলিস্তিনি ১২টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে ট্যানারি গোডাউনের আগুন পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ, দুর্নীতিবাজ বলে ইলন মাস্ক গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় হামাসের প্রশংসা করেন খামেনি

বিএনপি নির্বাচন ভন্ডুলের পাঁয়তারা করছে: কাদের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচন ভন্ডুল করার পাঁয়তারা করছে। কোনোভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হলে এবং জননিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটলে বিএনপিকে দায়ভার নিতে হবে।

বুধবার (২৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- বিএনপির রাজনীতির মূল হাতিয়ার হলো সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূলুষ্ঠিত করে অসাংবিধানিক ও অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের টুঁটি চেপে ধরেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি সর্বদাই গণচেতনার বিপরীতে পথ চলা রাজনৈতিক অপশক্তি। বিএনপি ও তার দোসররা বারবার এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করেছে। জনমনে ভীতি সঞ্চার করে জনগণকে জিম্মি করে যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। তারা রাষ্ট্র পরিচালনার নামে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিচার বিভাগকে দলীয় কার্যালয়ের আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিল। সেই বিএনপির মুখে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের হত্যাকারী বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশ পরে জনগণের সামনে দাঁড়াচ্ছে। মুখোশের আড়ালের মুখগুলোকে জনগণ ভালোভাবেই চেনে। তাই বিএনপির কোনো আহ্বানে জনগণ সাড়া দেয়নি এবং আগামীতেও তারা জনগণের কোনো সমর্থন পাবে না।

তিনি বলেন, জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। দেশবাসী দেখেছে, বিগত দিনগুলোতে নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা। আর এ লক্ষ্যে তারা সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে বিএনপির সন্ত্রাসী অপতৎপরতা তত বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। যানবাহন, স্কুল, সরকারি অফিস, মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছিল। বিএনপি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চক্রান্ত করছে। আমরা বিএনপিকে এই ষড়যন্ত্র থেকে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাই। তা না হলে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা মোকাবিলা করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ