রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে উৎফুল্ল বগুড়ার নেতাকর্মীরা। তবে এরই মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় নেতা গ্রেফতার হওয়ায় দলের অনেকে আতঙ্কে রয়েছেন। এরপরও গ্রেফতার এড়িয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় চলে গেছেন বলে দাবি দলের নেতাদের।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে এমন দাবি করেছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী সালাম।
এসময় তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই বগুড়ার পদযাত্রায় পুলিশের হামলায় আমাদের ২০০ নেতাকর্মী আহত হন। এরপর উল্টো জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ ২১১ জনের নাম উল্লেখ করে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি স্থানীয় এক বাসচালক একটি মামলা করেছেন। চার মামলায় অজ্ঞাত অনেক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সহিদ-উন-নবী সালাম আরও বলেন, মামলার পর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক এবিএম মাজেদুর রহমান জুয়েলসহ ছয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ গত কয়েকদিন আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দেয়। এরপর গ্রেফতার এড়িয়ে অন্তত ৫০০ নেতা ঢাকায় চলে যান। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেন, বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে জেলার ১২ উপজেলার আরও সাড়ে ৯ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে গেছেন। অনেক নেতাকর্মী সারিয়াকান্দি থেকে নৌকায় জামালগঞ্জ হয়ে ঢাকা পৌঁছেছেন। সবমিলিয়ে জেলার ১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান করছেন। মহাসমাবেশ শেষে তারা জেলায় ফিরবেন।