আওয়ামী লীগের তথাকথিত শান্তি সমাবেশে বারুদের গন্ধ আর রক্তের হোলি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে তখন আওয়ামী লীগ ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানের মতো শান্তি কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন কর্মসূচি ঘোষণা করছি ওরা আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। সেই কর্মসূচিতে আমাদের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের সাজিদ হাসান বাবুর ওপর রক্তাক্ত হামলা করেছে। আমানউল্লাহ আমানকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে। আসলে ওদের শান্তির সমাবেশে বাতাসে বারুদের গন্ধ আর রাস্তায় রাস্তায় রক্তের হোলি খেলা। এটাকে তারা শান্তি সমাবেশ বলেন! এদের শান্তি সমাবেশ ঠেকাতে এখন পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন ও পাইকারি হারে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ সোমবার (৩১ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতেও পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা ও সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে অনেক নেতা-কর্মীকে আহত ও গ্রেপ্তার করেছে। তারা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি কীভাবে বানচাল করা যায় সেভাবেই পরিকল্পনা করেছিল। আসলে আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতে গিয়ে নিজেরাই বানচাল হয়ে গেছে। তারা এখন গায়েবি মামলা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের ২১/২৩টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। তার একটি শর্ত দিয়েছে কোনো সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। কারণ সারা দেশের মানুষ ও দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করছেন সেই তারেক রহমান। সে জন্যই তার বক্তব্য প্রচার না করার শর্ত দিয়েছে। কারণ দেশের আকাশে-বাতাসে তারেক রহমানের নাম। পদ্মা মেঘনার প্রবল ঢেউয়ে তারেক রহমানের নাম।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম।
মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের পরিচালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম।