দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর আজ বিকাল ৩টায় রংপুরে মহাসমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই উপলক্ষে খণ্ড খণ্ড মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো নগরী। স্লোগান মুখর রংপুরের অলিগলিতে গণমানুষের ঢল নেমেছে। মহাসমাবেশ বিকালে হলেও সকাল থেকেই নগরীর ঐতিহাসিক জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বুধবার বিকাল ৩টায় এই জনসভায় ভাষণ দেবেন দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় ১০ লাখ লোক সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে নেতাকর্মীরা যাতে নির্বিঘ্নে সম্মেলনস্থলে পৌঁছাতে পারে সেজন্য ৮টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছে মানুষ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সবাই। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বিভাগ। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী এই জনসভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেবেন বলে আশা নেতাদের।
জানা গেছে, সভাস্থলে প্রবেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১টি রুট। সমাবেশে যারা যোগ দেবেন তাদেরকে নির্দিষ্ট ড্রপিং পয়েন্ট থেকে নির্দিষ্ট রুট দিয়েই আসতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রংপুরে আসছেন। এটি অনেক বড় পাওয়া। তাঁকে বরণ করতে এবং তাঁর মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন রংপুরবাসী।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, গোটা বিভাগের মহাসমাবেশ হচ্ছে রংপুরে। এটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। মূল স্পট জিলা স্কুল হলেও গোটা রংপুর নগরী লোকে লোকারণ্য। সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশে যোগ দিতে পারেন সেজন্য সব বন্দোবস্ত নিশ্চিত করা হয়েছে।