সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেম। নার্গিস মল্লিক নামে ওই নারী নিজের বিয়ের কথা গোপন করে ভারত থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এসে বিয়ে করেন জুয়েল সরকার নামে এক তরুণকে। বিয়ের প্রায় এক মাস পর ভারত থেকে এক ব্যক্তি এসে দাবি করেন, নার্গিস তার স্ত্রী। তাদের একটি সন্তান রয়েছে, তিনি তার স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে যেতে চান। তবে নার্গিস আক্তার ভারতে ফিরে যেতে রাজি হননি। পরে ভারতীয় স্বামী মীর ফজলুর রহমান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং তার স্ত্রী স্বামী-সন্তান ফেলে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গত ২৪ মে ভারত থেকে উল্লাপাড়ায় পালিয়ে এসেছেন, অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে নার্গিস মল্লিককে দ্বিতীয় স্বামী জুয়েল সরকারসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উল্লাপাড়ার ওসি নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ১২ বছর আগে ভারতে মীর ফজলুর রহমানের সঙ্গে নার্গিসের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি ‘লাইসা খাতুন’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে নার্গিস বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন জুয়েলের সঙ্গে। পরে বাংলাদেশে এসে গত ২৫ মে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভারতীয় স্বামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিয়ের তথ্য জেনে নার্গিসকে নিতে গত ২১ জুন উল্লাপাড়ায় আসেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, ভারতীয় নাগরিক প্রেমিকা নার্গিসের সাবেক স্বামী মীর ফজলুর রহমানের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই নবদম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নার্গিসের বিরুদ্ধে ভারতীয় স্বামী মীর ফজলুর রহমানের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক রেখেই বাংলাদেশের প্রেমিক জুয়েল রানাকে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার ভারতীয় স্বামীর নিকট থেকে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে।’