সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকির ওপর উৎসে কর কর্তন করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে বাড়তি আর কোনো কর আদায় করা হবে না। এটির মুনাফা থেকে উৎসে যে কর কেটে রাখা হবে, সেটিই চূড়ান্ত কর–দায় হিসেবে বিবেচিত হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক নয়, সেসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঞ্চয়ী আমানত ও স্থায়ী আমানত থেকে অর্জিত সুদ বা মুনাফায়ও উৎসে কর মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
গত জুনে পাস হওয়া নতুন আয়কর আইনে সঞ্চয়পত্রের মুনাফাকে করদাতার আয় হিসেবে গণ্য করার কথা বলা হয়। এতে ক্ষেত্রবিশেষে করদাতাদের ওপর বাড়তি করের চাপ তৈরির আশঙ্কা দেখা দেয়। নতুন আইনের এ বিধান যুক্ত করার কারণে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর নির্ভরশীল করদাতারা হতাশ হন। সে জন্য এনবিআর বিধানটি বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হলো।
এতে আরও বলা হয়, আয়কর আইন ২০২৩ এর ৭৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সঞ্চয়ী আমানত ও স্থায়ী আমানত, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও নগদ রপ্তানি ভর্তুকির ওপর উৎসে কর হতে অর্জিত আয়ের বিপরীতে উৎসে কর্তিত করের পরিমাণকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে নির্ধারণ করে উৎস হতে অর্জিত আয়ের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো করদায় পরিশোধ হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকির ওপর উৎসে কর কর্তন প্রহ্যাহারের পর যা হবে:
কোনো করদাতার বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকা। ওই করদাতা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে বছরে মুনাফা পান ২ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রের ওই মুনাফা থেকে ২০ হাজার টাকা উৎসে কর কেটে রাখা হয়। নতুন আয়কর আইনের বিধান কার্যকর হলে সে ক্ষেত্রে করদাতার ১০ লাখ টাকা আয়ের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের ২ লাখ টাকা মুনাফাও আয় হিসেবে যুক্ত হতো। এরপর ওই করদাতার যে কর নির্ধারিত হতো, তা থেকে ২০ হাজার টাকা উৎসে কর বাদ দিয়ে বাকি কর পরিশোধ করতে হতো।
এখন ওই পপ্রজ্ঞাপন জারি বিধানটি বাদ দেওয়ায় সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত ২ লাখ টাকা মুনাফা আর আয় হিসেবে যুক্ত হবে না। এ ক্ষেত্রে উৎসে কর হিসেবে কেটে নেওয়া ২০ হাজার টাকাই চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে বিবেচিত হবে।