বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের মধ্যে এজলাস ছেড়ে যাওয়া দুই বিচারপতি সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর বিচারকাজ শুরু করেছেন।
সোমবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম এজলাসে আসন গ্রহণ করে বিচার কাজ শুরু করেন। এরপর মামলা শুনানির জন্য একটি আইটেম ডাকেন। আইটেমটি ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে। কিন্তু এ সময় কোনো পক্ষের আইনজীবীকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর নির্দেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। দুই পক্ষের হট্টগোলের মধ্যে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন দুই বিচারপতি।
দুই পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলের ফলে আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শেইম-শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন।
এর আগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদনের শুনানি হয়। শুনানির পর তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।