• সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

কাপাসিয়ায় চার পরিবারের বেড়ায় এক পরিবার অবরুদ্ধ, সমাধানের আশ্বাস ইউএনওর

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বাড়ির চারদিকে চার পরিবার বেড়া দিয়ে একটি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয় প্রতিকার চেয়ে গত সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রহমত আলী।

ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়া উত্তরপাড়া বইল্লাবাড়ির হারিছউদ্দিনের বসত ভিটায় তার ছেলে প্রবাসী রহমত আলী বহু বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। এ বাড়ির দক্ষিণ পাশের ডুমদিয়া-কাশেরা সড়ক সংযুক্ত চলাচলের রাস্তাটি প্রায় পাঁচ বছর আগে তার বড় ভাই হযরত আলী ইটের দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেন। এর পর থেকে পূর্ব দিক দিয়ে তারা চলাচল করলেও প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে ওই রাস্তাটিও বন্ধ করে দেন প্রতিবেশী বোরহানউদ্দিন। এ সময় এ নিয়ে তীব্র কথা কাটাকাটি হলে একটি সালিশি বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে রহমত আলীকে জমি বদল করে বাড়ির দক্ষিণপাশের ইটের দেয়াল সরিয়ে নিজের খরচে পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার প্রস্তাব করলে তাতে তিনি রাজি হননি। পরে তার চাচাত ভাই হেলালউদ্দিন ও কামালউদ্দিন তার বাড়ির পশ্চিম ও উত্তর পাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে যাতায়াতের সমস্ত পথ বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে রহমত আলী জানান, তার ছেলে টোক শরীফ মামতাজউদ্দিন আহমদ ডিগ্রি কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। গত সাতদিন আগে হঠাৎ করে বাড়ির চার পাশে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার ফলে তার ছেলে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল বের করতে না পারায় প্রায় ১০ কি.মি. দূরবর্তী পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে ভেঙে ভেঙে যাওয়ার কারণে সময় মতো হাজির হতে পারেনি। বর্তমান খুব কষ্টে তারা দিনাতিপাত করছেন।

এ বিষয়ে রহমত আলীর চাচাত ভাই হেলালউদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ তারা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা না মানার কারণে পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে আছে। গাছপালা না থাকলেও এ বাড়ির উত্তর ও পশ্চিম পাশে বেড়া দেওয়ার কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন জানান, এ পরিবারের লোকজনকে যেভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তা খুবই অমানবিক। বেড়ার ফাঁকফোকড় দিয়ে তারা যেভাবে যাতায়াত করে তা এলাকাবাসীর জন্য খুবই কলঙ্কর বিষয়। শিগগিই এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে টোক ইউনিয়নের ৬ নং সদস্য সুলতানউদ্দিন আহমদ জানান, ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার প্রতিটি পরিবারই বসতভিটার জায়গা খুবই অল্প। তাই উভয় পক্ষের জমি পরস্পরর মাঝে বদল করে রাস্তা নির্মাণের একটি প্রস্তাব না মানার কারণই এই অবরুদ্ধ দশা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপার কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান জানান, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলাচলের অধিকার প্রত্যকেরই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তা তিনি অতি দ্রুত নিরসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ