• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
উত্তর কোরিয়াকে সৈন্যের বিনিময়ে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে রাশিয়া! তাপমাত্রা নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া নিয়ে যা অফিস রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর ফ্যাসিবাদ কিভাবে হটাতে হয় বাংলাদেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে: পিনাকী ইমরান খানের স্ত্রীর অভিযোগ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে, ভিন্ন কথা দলের মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বসুন্ধরা কিংস ঘুষ প্রদানের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে পরোয়ানা, লাভ হবে বাংলাদেশের আমরাও একটি ব্যবসায়ী পার্টনার চাই ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস,  লেবানন থেকে ৮২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন ঢাবিতে বিএনপির মহাসচিব- জামায়াত আমির ও আইন উপদেষ্টাকে জাতীয় ঘোষণা

‘রোকেয়া হায়দার সাংবাদিকতার অহঙ্কার’

আপডেটঃ : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে রোকেয়া হায়দার নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি আজ নারী সাংবাদিকতার অহঙ্কার। অনেক বাধার মুখেও তিনি সাহস হারাননি। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে গেছেন। নিজের মেধা যোগ্যতা ও পেশার প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন বলেই তিনি আজ সফল। আজ তিনি ‘ভয়েস অব আমেরিকা’ এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান সম্পাদক রোকেয়া হায়দারের সঙ্গে মতবিনিময় ও বিশেষ সন্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)- এর প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বিএফইউজে’র মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, উইমেন্স জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি বিলকিস আরা, মানবজমিনের প্রকাশক মাহবুবা চৌধুরী, বাসসের সাবেক বার্তা সম্পাদক রাশেদা আমিন, সাংবাদিক আমির খসরু, শফিকুল করিম, মমতাজ বিলকিস বানু, নাসিমুন আরা হক মিনু, দিল মনোয়ারা মনু, পারভীন সুলতানা ঝুমা, শাহনাজ মুন্নী, শামসুদ্দিন আহমেদ চারু, হাসান আরেফিন প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নারী সাংবাদিকরা যোগ দেন। রোকেয়া হায়দারকে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, ফুলের তোড়া, বই ও নানা উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।

 

রোকেয়া হায়দার বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এখানে কাজের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বলে কোনো বৈষম্য থাকতে পারে না। দৃঢ়তার সাথেই তা অস্বীকার করেছি। নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রম করেই এ পেশায় সবাইকে টিকে থাকতে হয়। আমাকেও সে লড়াই করতে হয়েছে। কখনো সাহস হারাইনি। সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের এখনও প্রতিকূলতার সাথে লড়তে হচ্ছে। বৈষম্য মোকাবিলা করতে হচ্ছে। রোকেয়া হায়দার এই প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই সাফল্য পেয়েছেন।  তিনি নারী সাংবাদিকদের অহঙ্কার ও প্রেরণা।

 

বক্তারা সাংবাদিকতায় রোকেয়া হায়দারের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনেকে ঢাকায় রোকেয়া হায়দারের কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। কলিকাতা হাই স্কুলে পড়ালেখা করার সময় থেকেই খবর পরিবেশনের প্রতি ঝোঁক ছিল রোকেয়া হায়দারের। তিনি অনেকের মাঝে কথা বলতে ভালোবাসতেন। ঢাকা ইডেন কলেজ এবং  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে গ্রাজুয়েশন করেন। ১৯৬৯ সালে প্রথম চট্টগ্রাম বেতারে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে। ১৯৮১ সালে ভয়েস অব আমেরিকায় যোগ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ