দেশে গত জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল। মাসিক রেমিট্যান্স আহরণের দিক থেকে গত তিন বছরের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। জুনে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা প্রায় ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। তবে জুলাইতে প্রবাসী আয় আসার সেই ধারা কিছুটা কমে যায়। ঐ মোট রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। আর আগস্টে সেটা ১৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলারে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এর আগে সবশেষ রেমিট্যান্সের এমন অবস্থা দেখা যায় ফেব্রুয়ারিতে। তখন ১.৫৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
ব্যাংককর্তারা বলছেন, খোলাবাজারে ডলারের দর বেশি থাকায় রেমিট্যান্সের একটি অংশ অবৈধভাবে দেশে আসছে। এতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রেমিট্যান্স পরিমাণ কমেছে।
ব্যাংকগুলো বর্তমানে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে। অপরদিকে অবৈধ চ্যানেলে প্রতি ডলারের বিনিময় তারা পাচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা।
গত ৩১ আগস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) রেমিট্যান্সে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া, রেমিট্যান্সের বিনিময় হারে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।