মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত কাঁচা বাজারের প্রবেশমুখে থাকা হক বেকারি থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কেটের নতুন কাঁচাবাজার মালিক সমিতির অফিস সহকারী মুশফিকুর রহমান লিটন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ তথ্য জানান তিনি।
মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, রাত ৩টার দিকে নিরাপত্তাকর্মী এসে আমাকে জানান, হক বেকারি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখি আগুন ধরে গেছে। পরে অফিসে এসে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিই। কিন্তু তারা কল ধরেনি। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিই। তারা বলে, আমরা তথ্য পেয়েছি, গাড়ি পাঠাচ্ছি। এর আধাঘণ্টা পর দুইটা ছোট গাড়ি আসে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে যে পাঁচ-সাতটা গাড়ি এসেছে, এটা আগে এলে ক্ষতি কম হতো।
তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে। গাড়ি সময়মতো এলে আগুন হয়তো কম ছড়াত। এ ছাড়া পানির সংকটও ছিল।
এর আগে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, ভোর ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। এরপর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কল্যাণপুর ও হেডঅফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করতে যোগ দেয় নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপনী সাহায্যকারী দল। এর আগে, আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়া বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।
জানা গেছে, মার্কেটটিতে ৫শর বেশি দোকানে কাজ করে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ মার্কেটে সবজি দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকান ও স্বর্ণের দোকানসহ অনেক ধরনের দোকান রয়েছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।