২০ বিলিয়নের ঘরে অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে । গত ২০ দিনের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চিত্র দেখা যায়।
ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩১শে আগস্ট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার।
জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই-আগস্ট মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ব্যয় পরিশোধে ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে এসেছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে এসেছে।
চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেশ মন্থর।
সর্বশেষ গত মাসে (আগস্ট) প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পতন হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে এসেছে কেবল ৭৩ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার কারণেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। আর চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের গ্রস রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। তারপর থেকেই রিজার্ভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে।