টাঙ্গাইলের সখীপুরে আমেনা নামক এক প্রতিবন্ধীর উপার্জনের একমাত্র সম্বল চায়ের দোকানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দোকানের জিনিসপত্র ভাঙচুর ও কয়েকজনকে মারধর করেছে তিন যুবক।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সখীপুর থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
হামলাকারীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সালাম সিকদার (৩৫), উপজেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল সিকদার এবং সোহাগ সিকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলা চালানোর সময় তারা তিনজনই নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
দোকানের মালিক আমেনা বলেন, রাতে আমার মেয়ের জামাই চা বানাচ্ছিল। আমরা দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে পাশের এলাকার সালাম সিকদার, নুরুল সিকদার ও সোহাগ সিকদার নেমে প্রথমে এক কাস্টমারের গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় বেশ কয়েকজন কাস্টমার আতঙ্কিত হয়ে দোকান থেকে চলে যায়।
তারা আমার স্বামী সেকান্দরের গলা চেপে ধরেছিল। পায়ে লাথি মেরেছে। একপর্যায়ে দোকান থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। আমার মেয়ের জামাই চা বানাচ্ছিল, তাকেও মারধর করেছে। সে একটুর জন্য চা গরম করার চুলার আগুনে পড়েনি। আমার পরিচিত এক বড় ভাই দোকানে ছিলেন। লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী আমেনা বিচার দাবি করে বলেন, আমরা নিতান্তই গরীব-অসহায় মানুষ। কোনো দিন কারো সাথে ঝগড়া করিনি। কারো সাথে তেমন কথাও বলি না। তবুও আমাদের সাথে এমন হলো।
তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ কম হলেও আমাদের কাছে এটা অনেক। এই দোকানে চা বিক্রি করেই আমাদের পেটে দু’মুঠো ভাত যায়। তাছাড়া আমি প্রতিবন্ধী মানুষ। ভারি কোনো কাজও করতে পারি না। আমার দোকান তারা কেন ভাঙচুর করল? আমি তাদের কী ক্ষতি করেছি? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি গরীব বলে কি এর বিচার পাব না? এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সখীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর সুকান্ত তুহিন বলেন, আমরা ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সবকিছু দেখেছি। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।