রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে শাহ আলম নামে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে দারুস সালামে এসিল্যান্ড অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শাহ আলম (৩৫) স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাবিলের গ্রুপের সদস্য।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসলাম ও নাবিল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মোহাম্মদ ইসলাম দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি। নাবিল সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য।প্রায়ই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল বিমানবন্দর এলাকার কাওলায় আওয়ামী লীগের জনসভাস্থলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে ইসলাম আহত হন।
এর জের ধরে জনসভা শেষে দারুস সালামে ফেরার পর ইসলাম গ্রুপের লোকজন নাবিলের বাড়িতে হামলা করে। এই সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নাবিলের লোকজন রাতে থানায় অভিযোগ দিতে যায়। একপর্যায়ে নাবিল গ্রুপের সদস্য শাহ আলমকে সড়কে পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ইসলাম গ্রুপের লোকজন। এক নারী সাংবাদিক আহত হন। পূর্বপরিচিত শাহ আলমকে নিয়ে তিনি থানার দিকে যাচ্ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহ আলমকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পায়ে ও কোমরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সাভারের মোগড়াকান্দায়।
দারুস সালাম থানার ওসি আমিনুল বাশার সমকালকে বলেন, ইসলাম ও নাবিল গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।