ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ এখনো অব্যাহত রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। কিন্তু বিনামূল্যের ডেঙ্গু টেস্টে সাড়া নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়তে থাকে। রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে পৃথক ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হয়। যেখানে এখনো প্রতিদিন অর্ধশত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এ সময়ই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
নগরীর ১২টি স্থানে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা এখনো চলমান রেখেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে বিনামূল্যের এই টেস্ট নিয়ে তেমন একটা সাড়া নেই।
রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, গত ১২ জুলাই নগরীতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্টের উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯৩৪ জন ব্যক্তি বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট করেছেন।
রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা জানান, মোট ১২টি স্থানের মধ্যে ১১টি বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় থাকা নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাসিকের মালিকানাধীন রাজশাহী সিটি হাসপাতালে বিনামূল্যের ডেঙ্গু টেস্ট করানো হচ্ছে।
এই কর্মসূচি চালু হওয়ার পর কয়েকদিন খুব ভালো সাড়া ছিল। এখন সেটা নেই। হয়তো মানুষ সরাসরি হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন। আবার এটিও হতে পারে নগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম।
এদিকে রামেক হাসপাতালে হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নেওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। তবে হাসপাতালে টেস্টেও চাপ রয়েছে। অব্যাহত এই চাপ সামালাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রামেক হাসপাতালের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু এনএস-১ টেস্ট হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৯টি, আইজিজি ৪ হাজার ৩৯টি এবং আইজিএম টেস্ট হয়েছে ৪ হাজার ৩৯টি। সবমিলিয়ে মোট ১২ হাজার ৬৪৭টি টেস্ট হয়েছে ডেঙ্গুর। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২১০ জন রোগী ডেঙ্গু পজিটিভ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর মধ্যে ৩ হাজার ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রাজশাহীর স্থানীয় ২ হাজার ১৮৬ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ১৮১ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এফএম শামীম আহাম্মদ জানান, হাসপাতালের ল্যাবে মাত্র ৬০ টাকা ফিতে তারা ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে পারছেন। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে বিশেষ ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ জ্বর বা টাইফয়েড শনাক্ত হলে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু টেস্টের সঙ্গে ভর্তি রোগীর চাপও প্রচুর হাসপাতালে। অব্যাহত এই চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।