বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের হরতাল চলছে দেশব্যাপী। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয় হরতাল। হরতালের প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়। গ্রাহক নেই অন্যান্য দিনের মতো। বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, ফকিরাপুল, আরামবাগ এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ওই এলাকার বিভিন্ন সড়কের মূল পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন শাখায় সামনের দরজা বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। তবে ব্যাংকে তেমন গ্রাহক না থাকায় অধিকাংশ সেবা কাউন্টারের কর্মকর্তাকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়।
মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ও বেরসরকারি ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি নেই। একই চিত্র দেখা গেছে, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও। এসব এলাকার ব্যাংকের অধিকাংশ কাউন্টার গ্রাহক উপস্থিতি না থাকায় খালি ছিল। তবে ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন দুপুরের পর গ্রাহক বাড়তে পারে।
বেরসরকারি একটি ব্যাংকের গ্রাহক আক্তারুজ্জামান বলেন, আমি ব্যবসা করি। আমার সিরামিকের মালামাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাবে। কিছু স্টক আছে বাকিটা কিনতে হবে। ঝুঁকি থাকলেও ব্যাংকে এসেছি টাকা তুলতে।
কেনো ঝুঁকি মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম নামে অপর গ্রাহক বলেন, গতকাল ব্যাপক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আজও আতঙ্ক কাজ করছে। এ কারণে গাড়ি যেমন নেই, ব্যাংকেও গ্রাহক নেই।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন এক ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকদের ব্যাংকে আসতে মানা নেই। ব্যাংকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেই লেনদেন চলছে। তবে হরতালের কারণে অনেকের মধ্যেই ভীতি কাজ করছে। এ কারণে গ্রাহক কমেছে। তবে দুপুরের পর গ্রাহক বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।