ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি কোনও ধ্বংসাত্মক কাজের অংশ হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘আশা করি, যারা কর্মসূচি দিয়েছে, যারা এই কর্মসূচির সঙ্গে সায় দেয় সেটি এক কথা, আর যদি কেউ সায় না দেয়— তাহলে আমাদের কাজ তাদের প্রোটেকশন দেওয়া। কেউ যদি কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দায়িত্বের জায়গা থেকে আইন প্রয়োগ করবে। নগরবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রাখবে।’
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা ও জানমালের নিরাপত্তায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা আশা করি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তার সাধ্যমত যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেবে, সব শ্রেণী-পেশার মানুষ সেটির সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করবে। এটা আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি। তার কারণ, প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার রয়েছে এবং নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে।’
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘২৮ তারিখ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের কথা ছিল। বিএনপিও আমাদের এ কথা বলেছিল। কিন্তু ১০টার পর থেকে মহাসমাবেশের কাকরাইল প্রান্তে যারা ছিল, তারা অসহিষ্ণু ও অসম্ভব আক্রমণাত্মক জায়গায় চলে যায়। যার কারণে অপরাধের মাত্রা ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এটি তাড়াহুড়ো করার কোনও বিষয় নয়। তাড়াহুড়ো করলে ভুল-ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মামলা করা আসামি, গ্রেফতার করা আসামি চিহ্নিত করা— এটি আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় অনেক সাধারণ মানুষও বাদী হয়ে মামলা করেছে। বিশেষ করে মতিঝিল থানায় এ ধরনের ১১টি মামলা হয়েছে। পুলিশ যে জায়গায় আহত হয়েছে, সেখানে পুলিশ মামলা করেছে। আরও যদি কেউ মামলা করতে আসে, সে বিষয়গুলো দেখা হবে। যারা দুষ্কৃতিকারীর কাজ করবে, সে বিষয়ে আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি থাকবে। দেশের প্রচলিত আইনের বিষয়ে তাদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া নগরবাসীকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
মহাসমাবেশকেন্দ্রিক ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনার কোনও ভুল ছিল কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়া নতুন কিছু নয়। যথার্থই ছিল। শান্তিপূর্ণ যেগুলো হয়েছে সেগুলো ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ যারা করেছে তারা আগেই ঘোষণা দিয়েছিল সমাবেশ হবে। আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। আমরা কখনও কোও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ আশা করি না।