• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে গণপরিবহন কম

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি ও সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলোর ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। অবরোধের প্রভাবে এদিন রাজধানীতে সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম চলতে দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়িও।

 

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিউ মার্কেট, কাঁটাবন মোড় ও পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও মোড়, ফার্মগেট, আগারগাঁও, শ্যামলী, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার এলাকায় গণপরিবহন খুব কম চলাচল করতে দেখা গেছে। আগের তুলনায় সংখ্যায় কিছুটা কম ছিল ব্যক্তিগত গাড়িও। তবে সিএনজি ও রিকশার ধাপট ছিল চোখে পড়ার মতো।

 

এদিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা, শাহজাদপুর, বাঁশতলা, নতুন বাজার, নর্দা কালা চাঁদপুর এলাকাও গণপরিবহন ছিল সীমিত সংখ্যক। এসব স্থানে গণপরিবহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে অফিসগামী যাত্রীদের। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহন না পেয়ে অনেককে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও রিকশায় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা গেছে।

 

অন্যদিকে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। টহল দিতে দেখা গেছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলো। ওই দিন দুপুরে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে সেটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়। এতে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালেও হামলার ঘটনা ঘটে।

২৯ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করে বিএনপি। একই দিন গ্রেফতার করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে। এছাড়া পুলিশি অভিযান চালানো হয় দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসা-বাড়িতে। পরদিন মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর দুই দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ