আমদানি করা ডিম ও আলু দেশে আসা শুরু হয়েছে। ভারত থেকে আমদানির খবরে আরো একধাপ কমেছে ডিম ও আলুর দাম। ইতোমধ্যে দামেও প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) আগের তুলনায় ডিম ও আলুর দাম কিছুটা কম ছিল বলে জানালেন ক্রেতারা। ভারত থেকে একটি ট্রাকে করে ৬২ হাজার ডিম দেশে আসার পরেই বাজারে পাইকারিতে প্রতিটির দাম ৮০ পয়সা করে কমে গেছে।
এদিকে আমদানির পর কমেছে আলুর দামও। খুচরায় কেজিতে ১০ টাকার বেশি দাম কমেছে দাবি বিক্রেতাদের। গত রোববার সন্ধ্যায় যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রাক ঢোকার পর রাতে কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে ১০ টাকা ২০ পয়সা হারে ডিম বিক্রি হয়েছে। আগের দিন দাম ছিল ১১ টাকা করে।
বাজার নিয়ন্ত্রণহারা হয়ে যাওয়ার পর সরকার গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫টি কোম্পানিকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদনপত্র দেওয়া শুরু করে। তবে নানা জটিলতায় প্রথম চালান আসতে সময় লাগে ৪৯ দিন। গত ২১ সেপ্টেম্বর এক কোটি ডিম আনার অনুমোদন পাওয়া বিডিএস করপোরেশন নিয়ে আসে এক ট্রাক ডিম। বন্দর পর্যন্ত তাদের প্রতিটি ডিমের আমদানি খরচ পড়েছে ৫ টাকা ২৯ পয়সা। প্রতিটি ডিমের জন্য শুল্ক গুনতে হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। ফলে বন্দর পার হওয়ার পর ডিমের দাম দাঁড়াচ্ছে প্রতিটি ৭ টাকা ০৯ পয়সা। এই চালানে বেশ মুনাফা হয়েছে বলে জানায় বিডিএস করপোরেশন।
ট্রাকে করে খোলাবাজারে ডিম বিক্রি করা বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, সোমবার পাইকারি বাজারে ডিমের দাম প্রতিটি ১০ টাকায় এসে গেছে। তবে খুচরা বাজার ও পাড়া মহল্লার দোকানেও এখনও সেভাবে দাম কমে নি বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। অনেক জায়গাতেই ৫০ থেকে ৫২ টাকা হালি ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালি ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই একদিনের মধ্যে আরও কমতে পারে।
এদিকে আলুর বাজারদর নিয়ন্ত্রণেও সরকার আমদানিতেই ভর করেছে। গত ৩০ অক্টোবর কৃষি মন্ত্রণালয় অনুমোদনপত্র দিতে শুরু করে। মোট এক লাখ ৬২ হাজার টন আলু আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশে এসেছে ২ হাজার ৭০০ টন। আমদানির আগে কোথাও ৬০ টাকা, কোথাও ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। যা বর্তমানে এখন খুচরা পর্যায়ে নেমে এসেছে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য কোথাও কোথাও ৫৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।