• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

আমার এলাকার নারীরা দিনে ৩ বার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

এলাকার মানুষের কষ্ট নেই উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তার এলাকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, এই প্রভাব কাটানো কি সম্ভব হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এই প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে, যদি আপনারা ইতিবাচক হন। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে এটা হয়েছে। কাজেই এটিকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। এটা নির্ভর করে আপনারা কতটুকু ইতিবাচক হবেন, তার ওপর।

আপনাদের তো এলাকায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে, ভোটররা যদি দ্রব্যমূল্য নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করে, তিনি বলেন, ধরেন, আমার এলাকা, আমার এলাকার মানুষের কষ্ট নেই। কারণ তারা আলুর দাম পাচ্ছে। আমাদের তো কৃষিভিত্তিক এলাকা। একটা এলাকা একেক রকম। ঢাকা শহরে যে নির্বাচন করবে, তার অনেক সমস্যা। কিন্তু আজ থেকে ২০ বছর আগে আমার এলাকায় ১০টা মোটরসাইকেল ছিল, ২০০১ সালে। তখন আমি প্রথম নির্বাচন করি। আজকে সেখানে হাজার হাজার মোটরসাইকেল। আমার এলাকা আলুভিত্তিক। কৃষিভিত্তিক। তাদের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে। চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে। আমি খুব ভালো জানি আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের যারা দিনমজুর, নিম্নশ্রেণির তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তাদের কয়েকটি সংগঠনের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার নতুন করে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখেন, একশ ভাগ শান্তি ঠিক করা যায় না। কেউ, কেউ খুশি হবেন, কেউ অখুশি হবেন। যারা খুশি না, তারা যদি ২০ হাজার টাকা বেতন পেতেন, তাহলে তারা খুশি হতেন। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে, যেখানে দু’পক্ষই রক্ষা হয়। সেখানে ১০০ ভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনই কেবল বাড়ানো হয়নি, তাদের বেসিকের অ্যামাউন্টও বাড়ানো হয়েছে। আপনারা জানেন, সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনের সঙ্গে দিনে যদি দুই ঘণ্টা ওভার টাইম করে, একটা হাজিরা বোনাস পায় তারা, কাজেই যারা বেতন সাড়ে ১২ হাজার টাকা, সেই কিন্তু ষোলো থেকে সতেরো হাজার টাকা তুলবে। এই কথাটা সাধারণভাবে জানা যায় না। এরপর প্রত্যেককে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে, তাতে মাসে অন্তত ৫০০ টাকা সাশ্রয় হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যেটা দেওয়া হয়েছে, সেটা ভালো বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারপরেও কিছু বাদ থেকে যায়। আমার মনে হয়, অধিকাংশ মানুষই সেটা মেনে নেবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ