সরকার ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ফের মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় মিরপুর ১৩ নম্বরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কয়েকশ শ্রমিক।
এতে মিরপুর ১৩, ১৪ ও ১০ নম্বরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মূল সড়কসহ আশপাশের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেশিরভাগ মিরপুর ১৩ নম্বরের ভিশন, এমবিএম, লোডস্টার, সারোজ গার্মেন্টসসহ আশপাশের ১০টি গার্মেন্টসের শ্রমিক বলে জানা গেছে।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা বলছেন, তাদের বেতন ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছেন। নতুন যে বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা তারা মানেন না।
এদিকে আশপাশে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।
তবে মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, কাফরুল এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মিরপুর ১০ এলাকায় বিক্ষোভ করেছিল। ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করে আবার চলে গেছে। তবে কোনো অপ্রীতকর ঘটনা ঘটেনি। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে তুলে দিয়েছে। এখন সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন। সকাল ৯টার পর তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে গেছেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে একই দাবিতে মিরপুর ১৩ নম্বরে সড়ক আটকায় শ্রমিকরা। পরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
গেল সপ্তাহে মিরপুর, সাভার ও গাজীপুর এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন মজুরি নির্ধারণের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলে। গাজীপুরে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়। পরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মেজরি নির্ধারণ করার ঘোষণা আসার পর শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়। এবার মিরপুরের একটি কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আজ সকালে মাঠে নামে।