বিজ্ঞাপনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে মেট্রোরেলের বাইরে-ভেতরের অংশ। এসব বিজ্ঞাপনী পোস্টার লাগাতে যথাযথভাবে নিয়মাবলী পালনের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ প্রকল্পের একজন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ট্রেনগুলো পরিদর্শন করবে।
এম এ এন সিদ্দিক জানান, একটি নামী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের জন্য তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আমরা মেট্রোর ভেতরে যেসব জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে সেগুলো ঠিক করে দিয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা বেশ কিছু ছবি দেখেছি তবে সেগুলো সঠিক কি না এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ছবিগুলোতে আমরা দেখেছি যে, আমাদের ঠিক করে দেওয়া জায়গার বাইরে কিছু বিজ্ঞাপন সাঁটানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলব।
এরপর কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মেট্রোরেল এমডি।
জানা যায়, আয় বাড়াতে অন্যান্য দেশের মতো ঢাকার মেট্রোরেলেও বিজ্ঞাপনের জন্য জায়গা ভাড়ার সুযোগ রেখেছে ডিএমটিসিএল। সম্প্রতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডিয়া কমের সঙ্গে পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি করেছে। বিজ্ঞাপনী সংস্থাটি তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে মেট্রোরেলে। ট্রেনজুড়ে লাগানো ফ্রিজ, টিভির বিজ্ঞাপনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেট কোম্পানি মেট্রোরেলের ভেতরের একটি বড় অংশ জুড়ে বিজ্ঞাপনী পোস্টার সাঁটিয়েছে। তারপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেট্রোরেলের যাত্রীরা যত্রতত্র পোস্টার ছাপানো নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন।