অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ আগামী বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন। মামলায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, এসকে সিনহার ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া পূর্বাচলের প্লটটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে উত্তরার সেক্টর-৪ এ স্থানান্তর করেন। পরবর্তী সময়ে রাজউক থেকে অনুমোদনও করান। আর প্লটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা নিজেই পরিশোধ করেন। পরে ওই প্লটে ৯তলা ভবন নির্মাণ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানকালে প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ভবনের নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এছাড়া, প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এসকে সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাই ও নিজের আত্মীয়ের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনও বৈধ উৎস নেই বা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় পৃথক দুই ধারায় এস কে সিনহাকে ১১ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত ঢাকার একটি আদালত।