• রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

পৌর মেয়রের জামিন জালিয়াতির বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩

আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল হক বলেছেন, টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান (মুক্তি) হাইকোর্টে তথ্য গোপন করে জামিন জালিয়াতির মাধ্য মুক্তি পেয়েছেন, সে বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন মন্ত্রী। ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে জামিন পান সাইদুর রহমান খান। বুধবার কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদিকে ২০ নভেম্বরের হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খাস কামরায় শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু তার এক দিন আগেই মুক্তি পেয়েছেন সহিদুর। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাইকোর্টে করা জামিন আবেদনে আপিল বিভাগের আদেশ গোপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আবেদনে নাম পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে সহিদুল রহমান খান। জেলা দেখানো হয়েছে ঢাকা। এ ছাড়া দেওয়া হয়নি টেন্ডার নম্বরও।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার রাতে কারাগারের জেলারকে ফোন করে বলেছিলাম, চেম্বার আদালতে যাব। তাকে (সহিদুর) যেন ছাড়া না হয়। এরপরও বুধবার দুপুরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’ এর আগে সহিদুর রহমান খান হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন বিচারাধীন থাকার তথ্য গোপন করে আরেকটি বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি নজরে আনার পর আদালত জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন মুক্তি। চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। পরে আপিল বিভাগ গত ২৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা গোপন করে ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান। ওই আদেশ কারাগারে পৌঁছালে বুধবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সহিদুর রহমান এই মামলার অন্য আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান একই আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অন্য তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ