• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

লু চিপ শেয়ারের তুলনায় অন্য শেয়ারের দাম বাড়ছে বেশি এক বছরে ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৫ শতাংশ ** ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৬ শতাংশ

আপডেটঃ : রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্লু চিপ শেয়ারকে (উচ্চ মূলধন, তরল এবং মুনাফামুখী কোম্পানির শেয়ার) সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগযোগ্য শেয়ার হিসেবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ আমাদের দেশে ব্লু চিপ শেয়ারের তুলনায় অন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেশি বাড়ছে। বিনিয়োগকারীদের সচেতনতার অভাবেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

 

গত এক বছরের বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক বা ডিএসইক্স (যেখানে লোকসানী কোম্পানিসহ কম মূলধনী কোম্পানির শেয়ারও তালিকাভুক্ত) সর্বোচ্চ ৬ হাজার ২৪০ পয়েন্টে উঠেছে। যা এক বছর আগে ছিল ৪ হাজার ৬২৩ পয়েন্টে। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। আর এ বছর ব্লু চিপ শেয়ারের সূচক ডিএসই-৩০ সর্বোচ্চ ২ হাজার ২২৬ পয়েন্টে উঠেছে। এক বছর আগে যা ছিল ১ হাজার ৭৬৫ পয়েন্ট। সেই হিসেবে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৬ শতাংশ।

 

মার্চেন্ট ব্যাংকাররা বলছেন, ব্লু চিপ সূচকের বাইরেও কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ার ডিএসইএক্সে রয়েছে। তবে এমন কোম্পানির সংখ্যা খুব বেশি নয়। এরমধ্যেও অনেক কোম্পানির ফ্রি ফ্লোটিং (লেনদেনযোগ্য) শেয়ারের সংখ্যা খুব কম। ফলে ডিএসইএক্সে এসব ভালো কোম্পানিগুলোর প্রভাবও কম। এছাড়া গত এক বছরে ব্যাংকিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম গড়ে ৫৬ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। এ দুটি খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিই ব্লু চিপ সূচকের বাইরে রয়েছে। অথচ এ দুই খাতের ৬০ শতাংশের বেশি শেয়ার ফ্রি ফ্লোটিং (লেনদেনযোগ্য) শেয়ার। ফলে ডিএসইএক্সে এ দুই খাতের কোম্পানিগুলোর প্রভাবও বেশি। এতে ডিএসইএক্স ডিএসই-৩০ সূচকের চেয়ে বেশি বেড়েছে।

 

সম্পদ ব্যবস্থাপকরা বলছেন, ব্লু চিপ সূচকের চেয়ে ডিএসইএক্স বেশি বাড়ছে এর চেয়েও বড় বিষয় হলো ডিএসইএক্সের বাইরেও বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে যে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম গত এক বছরে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা স্বল্প মূলধনের এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম গুজবের ভিত্তিতেই বাড়ছে। যা ডিএসইএক্সের হিসাবেও আসছে না। এ বিষয়টি বাজারের জন্য আশঙ্কার দিক। দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা দুলামিয়া কটন কিংবা জীলবাংলা, শ্যামপুর সুগার ও তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ারের দাম গত এক বছরে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ বেশিরভাগ ব্লু চিপ ও ভালো কোম্পানির শেয়ারের দামও এ সময়ে এতোটা বাড়েনি।

 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী সার্বিক সূচকের চেয়ে ব্লু চিপ শেয়ারের সূচকই বেশি বাড়ে। এমনকি পুঁজিবাজারের সূচক বলতে তারা ব্লু চিপ সূচককেই প্রাধান্য দেয়। আমাদেরও তাই হওয়া উচিত। অথচ আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সময় ব্লু চিপ শেয়ার কিনা তা সাধারণত বিবেচনা করেন না। কিংবা ব্লু চিপ সূচকের বাইরেও যেসব ভালো কোম্পানির শেয়ার রয়েছে সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে চান না। তারা অল্প দিনের মধ্যে লাভ করার জন্য প্রয়োজনে খারাপ শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান। এজন্যই বাজার পরিস্থিতি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে যেতে পারে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ