বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ইয়াঙ্গুনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ শিক্ষা মেলা।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এ মেলায় মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক উচ্চশিক্ষা-প্রত্যাশী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অংশগ্রহণ নেয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার সকালে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন স্থানীয় মেলিয়া হোটেলে মেলা উদ্বোধন করেন।
শিক্ষা মেলা উপলক্ষে দূতাবাস ‘সাধ্যের মধ্যে গুণগত মানের উচ্চশিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হওয়ার পথে আছি।’
তিনি বলেন, ‘এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও উচ্চশিক্ষা প্রসারে উৎসাহ প্রদান করছে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এসব বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই শিক্ষামেলা শুধু দু’দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরই উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করবে না, বরং তা দু’দেশের মানুষের মাঝেও যোগাযোগ স্থাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘এই মেলা মিয়ানমারের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে উচ্চ-শিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে।’ বাংলাদেশ থেকে আগত অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়, মিয়ানমারের উৎসুক শিক্ষার্থী-সুধীজনকে মেলায় সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান কোর্স এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরে।
মিয়ানমারের শিক্ষার্থী, ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্প্রতি ‘ক্যাম্পাস কানেক্ট’ শিরোনামে জনকূটনীতিমূলক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে মিয়ানমারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জাদুঘর এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং দু’দেশের সমপর্যায়ের সংস্থাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিনিময় এবং দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে।