• রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

জনগণ সরকারের নির্বাচনি নাটক রুখে দেবে: সেলিমা রহমান,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে সারাদেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। জনগণ তাদের হ্যাডম দিয়ে আপনাদেরকে রুখে দেবে। একজনের (শাহাজাহান ওমর) হ্যাডমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং সরকারের নির্বাচনি নাটক রুখে দেবে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, আমরা কোন দেশে বাস করছি? আজকে গুম খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করতে দেয়নি। সরকার এতো ভীতু যে তাদেরকে কর্মসূচি করতে দেয় না।

তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের জীবন চলে সেই পুলিশ বেআইনিভাবে দমন পীড়ন ও গ্রেপ্তার করছে। তারা গণতন্ত্রের আন্দোলন রুখে দিতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা যখনই সমাবেশ দিই তখনই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। শান্তি বাহিনীর মতো বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মনে রাখবেন এটাই শেষ দিন নয়।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার দেশের মানুষের ভাত ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ২২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে সারাদেশে গ্রেপ্তার করেছে। সাড়ে ৮ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তিকেও সাজা দিয়েছে। কী ভয়ংকর পরিস্থিতি? আজকে একই মামলায় মির্জা ফখরুলসহ অনেকেই কারাগারে আর একই মামলায় শাহজাহান ওমরের জামিন মিলে। কী প্রহসন। এটা তো প্রমাণিত যে, বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য এসব করা হয়েছে। তবে এবার জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, দেশে জুলুম ও জাহেলিয়াতের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। আজকে মায়েরা রাজপথে নেমে তাদের সন্তান বা স্বামীকে ফিরে পেতে কান্না করছে। এই মায়েদের কান্নার আওয়াজ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজকে এই সরকার যে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে তা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমররে মুক্তি ও নৌকা প্রতীক দিয়ে প্রমাণ করেছে।

জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, এ দেশের মানুষ পাতানো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা প্রহসনের একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে এবং আমগীদিনে প্রতিহত করবে।

ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এম এ সেলিম বলেন, আমরা কী আজকে সত্যি স্বাধীনতা অর্জন করেছি? আজকে বিরোধী দলের প্রায় দুই লাখ নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে বনে বাদারে রাত কাটাচ্ছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেনো? আপনি পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।

অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব‘র সভাপতি প্রকৌশলী বলেন, আজকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে জামিন দিচ্ছে না। তাহলে সহজেই অনুমেয় যে এই সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এবং একতরফাভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে জামিন দিচ্ছে না। এমনকি বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে। অনেককে গুম খুন করা হয়েছে। আজকে সরকার ডামি প্রার্থী দিয়ে ডামি নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ সেই নির্বাচন মানবেনা। তারা প্রতিহত করবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য।

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাব সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, আজ দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পরও মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আজকে দেশের চরম দুরবস্থা দূর করতে পেশাজীবীসহ দেশের জনগণকে রাজপথে নেমে এসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আগামী দিনের একতরফা নির্বাচন রুখে দিন।

চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত মানবন্ধনে ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. রফিকুল কবির লাবু, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আমীরুল ইসলাম কাগজী, ডা. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মো. শহীদ হাসান, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, জাহিদুল করিম কচি, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী, ডিইউজের সাঈদ খান, ডা. এমএ কামাল, প্রকৌশলী মো. হানিফ, ডা. জাহানারা লাইজু, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মানববন্ধনে চিকিৎসকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. দিদারুল আলম, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. তৌহিদুল ইসলাম জন, ডা. জিয়াউর রহমান, ডা. আশফাকুর রহমান শেলী, ডা. এসএম মাসুম বিল্লাহ, ডা. এমএ ওহাব, ডা. রুস্তম আলী মধু, ডা. এমএ লতিফ, ডা. জালাল উদ্দিন রুমি, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. বাসেদুর রহমান সোহেল, ডা. জাহিদ হাসান, ডা. মো. সায়েম, ডা. কাজী মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ডা. মাসুদ রানা, ডা. কায়সার ইয়ামিন ইসাদ, ডা. গালিব হাসান, ডা. আরেফিন রঞ্জু, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু, ডা. রাফসান জানি আবির, ডা. তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ