• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রহস্যময় ড্রোনের দেখা মিলল ব্রিটেনের তিন মার্কিন বিমানঘাঁটির আকাশে নানা আলোচনা মির্জা ফখরুলের স্ট্যাটাস ঘিরে সড়ক অবরোধ করে আজও রিকশাচালকরা বিক্ষোভ করছেন পাচার করা অর্থ ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে ফেরত আনা সম্ভব হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যয় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হামলা ও ভাঙচুরের ধ্বংসস্তূপ সোহরাওয়ার্দী-নজরুল কলেজ, পরীক্ষা দিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের মৃত্যু বৈধপথে ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা নির্বাচন নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএনএর ৩ সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

সরকার চিনির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারি মিলের চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় নির্ধারণ করেছিলো। তবে রাতে সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে মূল্যবৃদ্ধির আদেশ রহিত করা হলো।

এর আগে ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য কেজিতে ১৫০ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করে বিএসএফআইসি। করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফআইসি জানিয়েছিলো, আন্তর্জাতিক ও দেশিয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসির উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বর্তমানে বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ ১৪০ টাকা কেজি প্যাকেট চিনির কেজি নির্ধারণ করে সংস্থাটি।

গতবছর ফেব্রুয়ারিতে প্রতি টন চিনি আমদানিতে কাস্টম ডিউটি ৩ হাজার টাকা, আরডি ৩০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে চিনি আমদানি ডিউটি পরে প্রায় ৬১ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত চিনি চাহিদার তুলনায় নগণ্য হওয়ায় এই শুল্ক নিয়ে বিবেচনার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছিল টাস্কফোর্স কমিটি। পরে আর ব্যবসায়ীরা চিনি দাম আর কমায়নি। উল্টো বাড়িয়ে দিয়েছিল।

ব্যবসায়ীদের চাপে গতবছর ২ নভেম্বরে আবার চিনির আমদানি শুল্ক কমায় সরকার। তখন তার কোনো প্রভাব বাজারে পরেনি। উলটো বেড়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আবারও চিনিতে শুল্ক সুবিধা প্রতিকেজিতে ৬৮ পয়সা করা হয়।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে পণ্যে সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়ে না। বরং ব্যবসায়ীদের মাঝে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। এতে করে পণ্যের দামও কমে যায়। চিনিতে যে দাম নির্ধারণ করছে সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

সংশ্লিষ্ট খাতের এমন সমালোচনা এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ