প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা চাই প্রতিবার আইনগত কোনো জটিলতা আছে কি না। আইনমন্ত্রী আমাদের ফাইলটি ফেরত পাঠিয়েছেন, কোনো আইনগত জটিলতা নেই। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইলটি পাঠাব। তিনি সম্মতি দিলে আমরা একটি জিও (প্রজ্ঞাপন) করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। সবকিছুরই প্রসেস চলছে।’
এক্ষেত্রে সাজা ছয় মাসই মওকুফ থাকছে কি—না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে রকমভাবে আমরা দিয়ে আসছি আগে, সেই রকমভাবেই চলবে।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনা হলো খালেদা জিয়ার মামলা ছিল, মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার নামে আরও কিছু মামলা আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কোর্ট থেকে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো কিছু আমরা করিনি। কোর্টের সিদ্ধান্তের পরেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতাবলে সাজাটা স্থগিত করে তাকে বাসায় থেকে সুচিকিৎসা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এটাই হলো বর্তমান অবস্থা। আমাদের দেশে যারা আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তারা যে নিয়মে চলে সে অনুযায়ী চলছে, এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। পরে সে আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সবশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। আগামী ২৪ মার্চ সেই মেয়াদ শেষ হবে।
এর আগে, ১৩ মার্চ রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা শেষে গত ১৪ মার্চ গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।