সুগন্ধি ব্যবহার করা ছাড়াও রাসুল (সা.)-এর দেহ মোবারক থেকে সুবাস ছড়াতো। তার গায়ের সুরভি দূর থেকে অনুভব করা যেত।
যারা তার কাছে ঘেঁষতো তাদের হৃদয়-মানস জুড়িয়ে যেত। যেকোনো মজলিস তার দেহের বিমল ঘ্রাণে মৌতাত হতো।
আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (সা.)-এর সুরভির চেয়ে হৃদয়কাড়া কোনো ঘ্রাণ আমি কখনো নেই নি। (ইমাম নবভির ব্যাখ্যাকৃত মুসলিম, হাদিস নং ৮৬১৫)
আনাস (রা.)-এর অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমার পৃথিবীর সুগন্ধি আমার কাছে প্রিয় করা হয়েছে এবং নামাজের ভেতর আমার চোখের শীতলতা রাখা হয়েছে। ’ (নাসাঈ, হাদিস নং ৩৯৩৯)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.)-কে কেউ সুগন্ধি উপহার দিলে তিনি গ্রহণ করতেন। ফিরিয়ে দিতেন না। কেউ সুগন্ধি দিলে ফিরিয়ে দিতেও তিনি নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস নং ৫৫৮৫)
আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) তিনটি জিনিস ফেরত দেয়া যায় না বলেছেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে সুগন্ধি। (তিরমিজি, হাদিস নং ২৭৯০)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কাউকে সুগন্ধি দেওয়া হলে যেন গ্রহণ করা হয়। কারণ, সুগন্ধি ঘ্রাণে স্নিগ্ধ ও বহনেও সহজ। ’ অন্য বর্ণনায়, ‘সুগন্ধি জান্নাত থেকে এসেছে। ’ (মুসলিম, হাদিস নং ২২৫৩)