ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) (অঞ্চল-০৫) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেছেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই অফিসটি সরিয়ে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন কমিউনিটি সেন্টারে নেওয়া হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো রাজধানী থেকে বাজার সরানোর প্রক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চল-৫-এর কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বলেই আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তর করা হচ্ছে। কারওয়ান বাজারকে কাঁচা বাজার ও আড়তমুক্ত করার লক্ষ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। সে কারণে অফিসটি আমরা স্থানান্তর করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অফিসটি পূর্ণাঙ্গভাবে স্থানান্তরিত করব।
প্রাথমিকভাবে এখানকার স্থায়ী বরাদ্দকৃত (আড়ত ভবন-১) ১৭৬টি আড়ত, দোকান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী দুই স্থান থেকে (দক্ষিণ পাশের ১১৮টি ও উত্তর পাশের ৬২টি) ১৮০টি দোকান গাবতলীর আমিনবাজারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য দোকানগুলো পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মোতাকাব্বির বলেন, কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী শহরকে সুন্দর রাখতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১০ সালে বুয়েট থেকে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রেকটো ফিটিং করার জন্য। পরবর্তীতে দেখা যায় রেকটো ফিটিং করতে যে পরিমাণ খরচ, এর থেকে না করাই শ্রেয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া ছিল যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে। যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করার কথা রয়েছে। ২০১০ সালের প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। এই প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বুয়েট ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কারওয়ান বাজারসহ প্রায় ১৬টি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে।
পুরো কারওয়ান বাজার স্থানান্তরিতের পরে এখানে বিজনেস হাব করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।