পবিত্র মক্কার ইমাম আব্দুর রহমান আস সুদাইসির মতো কোরআন তেলাওয়াত করে গতবছর মালদ্বীপে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন সিলেটের হাফেজ কামরুল আলম। কোরআনের সুরের মূর্ছনায় উদ্বেলিত হয়ে এবারও দেশটির আমন্ত্রণে তারাবি পড়াচ্ছেন তিনি।
এরআগে গেল বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াতের ভিডিও শেয়ারের পর মালদ্বীপের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েন হাফেজ কামরুল।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২২ সালে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ভিডিও ইউটিউবে পান মালদ্বীপের মসজিদ কমিটির এক সদস্য। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ২০২৩ সালে দেশটির ফুবামুলাহর মসজিদ আল ইনারায় তারাবি নামাজের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বর মাসে তারা ফোনের মাধ্যমে এ বছরও তারাবির জন্য আমন্ত্রণ জানান। এবার তিনি নামাজ পড়াচ্ছেন ফুবামুলাহ সিটির মসজিদ আল-হুদা মসজিদে। মসজিদটি সিটির মধ্যখানেই অবস্থিত।
সিলেটের বালাগঞ্জের মাহবুবুর রহমান ও সাহেদা বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান কামরুল আলম। প্রাইমারি স্কুলে পড়া অবস্থায় ভর্তি হন মাদ্রাসায়। জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) পরীক্ষার পর নিজ ইচ্ছায় দুই বছরের মাথায় হিফজুল কোরআন শেষ করেন তিনি। বর্তমানে অধ্যয়ন করছেন সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে।
প্রবাসী বাংলাদেশি হাফেজ কাদের আহমদ বলেন, ‘সবাই তাকে বাংলাদেশের সুদাইসি হিসেবে চেনেন। আমাদের দেশের একজন হাফেজ রাষ্ট্রীয়ভাবে মালদ্বীপে তারাবি নামাজের ইমামতি করছেন, সেটা বাংলাদেশ এবং আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
হাফেজ কামরুল জানান, মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশি ও সেখানকার স্থানীয়দের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা পেয়ে তিনি মুগ্ধ।
মালদ্বীপের সাবেক সংসদ সদস্য আলী ফাজাদ বলেন, হাফেজ কামরুল আলমের তেলাওয়াত খুবই শান্ত এবং প্রশান্তিদায়ক। তারাবির জন্য এখানে আসা সেরা ইমামদের একজন তিনি। পুরো দ্বীপ থেকে অনেকে তার তেলাওয়াত শুনতে আসেন। আল্লাহ তার মঙ্গল করুক।