• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

সেই ব্যাংক ম্যানেজারের খোঁজ মেলেনি, হয়নি মামলা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিন অপহৃত হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো কোনও মামলা হয়নি।

তবে এই ঘটনায় বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেলাপ্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় রুমা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ার সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মসজিদের সবাইকে জিম্মি করে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে জানতে চাইলে সবাই চুপ করে থাকে। এক পর্যায়ে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে সঙ্গে করে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে গেট ভেঙে অফিসে থাকা অফিস সরঞ্জাম নষ্ট করে ফেলে এবং ব্যাংক নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে মোট ১৪টি আগ্নেঅস্ত্র লুট করে। এরপর ব্যাংক ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যশিয়ার উথোয়াইচিং মারমা জানান, ডরমিটরির বাইরে যুব উন্নয়ন অফিসের পাশে গিয়ে চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে মুখে কালি লাগানো অপরিচিত ৩ জন লোক অস্ত্রের মুখে দাঁড় করায় এবং তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে পকেটে থাকা ১৫শ টাকা ও ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয়।

তিনি জানান, পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসার পর ব্যাংকে গিয়ে দেখেন অফিস সরঞ্জামগুলো ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। এছাড়া তার জানা মতে, ভল্টের ভেতর ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা জমা ছিল। ভল্টের দুইটি চাবির মধ্যে তার কাছে ১টি এবং অপহরণের শিকার ম্যানেজারের নিকট অপরটি থাকত। ভল্ট না খোলা পর্যন্ত টাকা লুটের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান জানান, বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো প্রকার মামলা হয়নি।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, পুলিশের ৮টি চায়না রাইফেল, ২টি এসএমজিসহ ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি, আনসারের ৪টা শর্টগান ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কে বা কারা করেছে ক্রাইমটিম আসলে তারা ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তদন্ত করবে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সোনালী ব্যাংকের ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ব্যাংকের ভল্ট চেক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রাইমসিন টিম আসলেই বুঝা যাবে টাকা খোয়া গেছে কিনা? ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ