কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে ছয় লক্ষাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ জামাত। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ।
এ দিকে মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান। ঈদের নামাজের মোনাজাতে মুসল্লিরা দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের মানুষের সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন।
বড় জামাতে বেশি মুসল্লির সঙ্গে নামাজ আদায় করলে দোয়া কবুল হয়-এমন আকর্ষণে সকাল থেকেই এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন ছয় লক্ষাধিক মুসল্লি।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসে। মুসল্লিদের অজু ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরঘেঁষে প্রায় সাড়ে ৬ একর জমির ওপর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। মুসল্লিরা এই ময়দানে দলে দলে প্রবেশ করেন। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ জামাত আয়োজনে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
প্রচলিত আছে ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া মাঠে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। পরে এর নামকরণ করা হয় শোলাকিয়া মাঠ। ১৯৫০ সালে ঈশাখাঁর ১৬তম বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য প্রায় সাড়ে ছয় একর জমি ওয়াকফ করেন।েে