ভিন্ন এক প্রদর্শনী চলছে রাজধানীতে। এই প্রদর্শনী কোন ব্যবহারিক পণ্যের নয়; পরিত্যক্ত সব জিনিসের প্রদর্শনী।
যেসব পরিত্যক্ত জিনিসগুলো রাজধানীবাসী আশপাশের খালগুলোতে ফেলে দিয়েছিলেন। খাল থেকে এসব পরিত্যক্ত বর্জ্যগুলো উঠিয়ে জন সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিন্নধর্মী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে খাল থেকে পাওয়া সিরামিকের তৈরি ডানা কাটা পরীর মূর্তি। রাজধানীর কোন বাসিন্দা নিজ বাসার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এটি ব্যবহার শেষে পরিত্যক্ত হওয়ার পর তা খালে ফেলে দিয়েছিলেন। মোহাম্মদপুরের একটি খাল থেকে এ মূর্তিটি মিলেছে।
শুধু ডানা কাটা পরী-ই নয়; রাজধানীর বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা সব পরিত্যক্ত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টপ, রিকশার অংশ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানান কিছু। এগুলোর কারণেই মূলত পানি প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার।
শনিবার (১১ মে) গুলশান-২ এর ডিএনসিসির নগরভবনের সামনে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত। এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
প্রথমে ৩ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলার কথা থাকলেও পরে ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশনায় এটি ৭ দিন পর্যন্ত চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই প্রদর্শনী দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসেছেন। তাদের ঘুরে ঘুরে এসব বর্জ্য দেখাচ্ছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
প্রদর্শনীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিজেরা এই শহরে বসবাস করি। কিন্তু কতটা অসচেতন হলে লেপ, তোশক, জাজিম, রিকশা, সোফা, কমোড, টায়ারসহ এমন কিছু নেই যা আমরা খালে ফেলিনি। এসবের কারণেই পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। মূলত সবাইকে দেখাতে, সচেতনতা তৈরি করতে কাল থেকে উদ্ধার হওয়া এসব বর্জ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, আমরা চাই এসব সবাই দেখুক, নিজেরা সচেতন হোক, আর যেন কেউ খালে-ড্রেনে এভাবে পরিত্যক্ত জিনিস না ফেলে। আমরা খালগুলোর প্রবাহ ঠিক করতে কাজ করছি, জনগণ যদি সচেতন না হয় তাহলে আমাদের এই কাজ করে কোনো লাভ আসবে না। সবাইকে এসব ফেলা বন্ধ করতে হবে। এই প্রদর্শনের আয়োজন মূলত জন সচেতনতা সৃষ্টি করা।