• সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন

মা’ হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন মনীষা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা আসলে ভারতীয় নয়। তার জন্ম নেপালে। রাজপরিবারের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে তার। নেপালের ২২ তম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালা ছিলেন তার দাদা। তার বাবাও নেপালের মন্ত্রী ছিলেন। ভারতীয় সিনেমায় কাজ শুরু করার পর কর্মজীবনে কৈরালা তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ ও স্ক্রিন পুরস্কারসহ একাধিক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। এত অর্জনের মধ্যেও তার অপ্রাপ্তি রয়েছে। তার কোনো সন্তান নেই। ডিম্বাশয় বাদ পড়েছে ক্যানসারে, তবু মা হতে চান! খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

২০১২ সালে জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত হন মনীষা। নিউ ইয়র্কে তার চিকিৎসা হয়। ক্যানসারের জন্য এখন আগের মতো গতিতে কাজ করতে পারেন না তিনি। মানসিক ভাবেও মাঝেমাঝে অস্বস্তি হয়। যদিও অভিনয় জগত থেকে একটা লম্বা সময় দূরে থাকার পর সম্প্রতি প্রত্যার্বতন হয়েছে তার, সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরামন্ডি’ সিরিজের মাধ্যমে। তবে জীবনে এক অপূর্ণতা রয়ে গিয়েছে তার। মা ডাক শোনা হয়নি এখনও! ক্যানসারের কারণে বাদ পড়েছে তার ডিম্বাশয়, তাই মা হওয়া হয়নি অভিনেত্রীর। কিন্তু এখন অনেকটা সুস্থ, এ বার ‘মা’ হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে মনীষা বলেন, ‘আমি মেনে নিয়েছি আমার জীবনে অপ্রাপ্তি রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায়, এমন অনেক স্বপ্ন থাকে, যা আপনি পূরণ করতে পারবেন না। তখন তার সঙ্গে সমঝোতা করে নিতে হয়। মাতৃত্ব তার মধ্যে অন্যতম। ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হওয়া এবং মা হতে না পারাকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে কঠিন ছিল। কিন্তু এখন আমি নিজেকে বুঝিয়ে নিয়েছি।’

এ মুহূর্তে নায়িকারা জৈবিক পদ্ধতি ছাড়াই মাতৃত্বের স্বাদ পাচ্ছেন। কেউ দত্তক নিচ্ছেন, কেউ সাহায্য নিচ্ছেন সারোগেসির। তবে কি তেমনই কোনও পরিকল্পনা রয়েছে মনীষার?

জবাবে তিনি বলেন, ‘দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছি অনেক বার। পরে আমার মনে হয়েছে, অল্পেই আমি বিচলিত হয়ে পড়ি। কোনো কঠিন পরিস্থিতি এলে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠি। আমার মনে হয়, একজন মায়ের এ অস্থিরতা থাকলে চলে না। বরং এটা মেনে নেওয়াই ভালো, আমার যা আছে, তা নিয়েই চলতে হবে। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন, যাদের আমি ভালোবাসি। আমি তাদের চোখের মণি, তাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। তাই আজকাল প্রায়ই নিজের বেড়ে ওঠার ভূমি কাঠমান্‌ডুতে ফিরে যাই এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাই।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ