মিরপুর ১০ নম্বরে লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভে নেমেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ও ব্যবসায়ীরা। এ সময় কয়েকটি বাসে হামলা চালানোর পাশাপাশি বিক্ষুব্ধরা প্যাডেলচালিত রিকশাচালকদেরও মারধর করেন।
রোববার সকাল ১০টা থেকে তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর অবরোধ করে রাখেন। সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পুলিশের সাম্প্রতিক অভিযানের বিরুদ্ধে তাদের এ বিক্ষোভ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার জসিম উদ্দিন জানান, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক এবং এই ব্যবসার সাথে যুক্ত অনেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর অবরোধ করে রেখেছেন। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশের সাম্প্রতিক অভিযানে কারণে তারা এরকম করছেন।’
উপকমিশনার জানান, মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে জড়ো হওয়ার আগে বিক্ষোভকারীরা মিরপুরের কালশিসহ আরো কয়েকটি সড়কে বিক্ষোভে নামেন। এ সময় তারা প্যাডেলচালিত রিকশা চালকদেরও মারধর করেন, কয়েকটি বাসে হামলা করেন। পরে তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে এসে অবস্থান নেন।’
তিনি বলেন, পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে মিরপুর-১০ নম্বর চত্বরে থাকা চালকদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। পরে সেখান থেকে সরে গিয়ে তারা কালশীতে রাস্তায় আগুন দিয়েছে।
গত বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিদ্যুৎচালিত তিন চাকার যানগুলো অটো, ইজিবাইকসহ নানা নামে পরিচিত। দুর্ঘটনার জন্য সড়কে মোটরবাইক এবং ইজিবাইকের চলাচলকে দায়ী করেন তিনি।
বিআরটিএ ভবনে মন্ত্রীর সাথে ওই সভায় ঢাকার দুই মেয়রও শহরের মধ্যে এসব ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তাদের সম্মতি জানিয়েছিলেন।