ক্রিকেট যত এগুচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জনপ্রিয় হচ্ছে আরও। ব্যাটারদের রানের ফুলঝুড়ি দেখার আগ্রহও বাড়ছে দর্শকদের। আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন শুরু, তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান কার?
আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের গত আসরে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বিরাট কোহলি। তিনি ৬ ম্যাচে ২৯৬ রান করেন। চারটি হাফ সেঞ্চুরি করেন কোহলি।
শুধু তাই নয়, আগের সাত আসর মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রান বিরাট কোহলির। ২০১২ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলেন তিনি। এরপর ছয় আসরে ২৭ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। কখনো কোনো সেঞ্চুরি হাঁকাতে না পারলেও ১৪ ফিফটিতে ১৩১.৩০ স্ট্রাইক রেট ও ৮১.৫০ গড়ে ১১৪১ রান করেছেন কোহলি।
তিনি ছাড়া আর একজন ব্যাটারেরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক হাজারের বেশি রান আছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে মাহেলা জয়াবর্ধনে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। মোট চারটি আসরে ৩১ ম্যাচ খেলে ১৩৪.৭৪ স্ট্রাইক রেট ও ৮১.৫০ গড়ে ১০১৬ রান করেছেন তিনি। একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৬টি হাফ সেঞ্চুরি আছে জয়াবর্ধনের।
এই তালিকার তিন নম্বরে আছেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল। ৩৩ ম্যাচ খেলে ১৪২ স্ট্রাইক রেট ও ৩৪.৪৬ গড়ে ৯৬৫ রান করেছেন তিনি। দু’বার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ এনে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টির এই মহাতারকা।
সেরা পাঁচে থাকা বাকি দু’জনের একজন খেলছেন এখনও। এবার ভারতকে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া রোহিত শর্মা ৩৯ ম্যাচ খেলে ৯৬৩ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেলা দু’জনের একজন তিনি। তার পরে পাঁচ নম্বরে আছেন শ্রীলঙ্কার আরেক তারকা তিলকারত্নে দিলশান।
সেরা দশে আছেন একজন বাংলাদেশিও। নামটা অনুমান করতে পারার কথা যে কারো। রোহিত ছাড়া আর একজনই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেলেছেন। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৩৬ ম্যাচে ২৩.৯৩ গড়ে ১২২.৪৪ স্ট্রাইক রেটে ৭৪২ রান করেছেন তিনি। আছেন তালিকার আট নম্বরে।