নগরের কাউনিয়া এলাকার একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে নাঈম ও রোজা নামে বাবা-মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি রহস্যজনক।
পরিবারের দাবি, বিচ্ছেদের পরেও নিহতের স্ত্রীর নানা চাপের মুখে হতাশ হয়ে নাঈম প্রথমে তার মেয়েকে হত্যা করেন। পরে নিজে ‘আত্মহত্যা’ করেন। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে না দেখার আগ পর্যন্ত ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলতে রাজি নয়।
বুধবার (১২ জুন) সকালে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া প্রধান সড়ক পানির ট্যাংকি সংলগ্ন স্বপ্ন বিলাস ভবনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে পাঁচ বছর বয়সী রাবেয়া বশরি রোজা ও তার বাবা নাইম হাওলাদারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর ময়নাতদন্তের জন্য দেহ দুটি শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঘটনাটি হত্যার পর আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু সেটি তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি ও মহানগর গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, নাঈমের পরিবার জানিয়েছে- স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে নানা চাপ সহ্য করে আসছিলেন তিনি। সাবেক স্ত্রীর এসব চাপ সহ্য করতে না পেয়ে নাঈম ঘরে থাকা বটি দিয়ে প্রথমে নিজের মেয়েকে জবাই করে হত্যা করেন। পরে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন। আমরা এসব তথ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছি, তবে আদৌ তা ঘটেছে কিনা সেটি তদন্ত সাপেক্ষ।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভুঞা বলেন, ঘটনাটি নিয়ে এত দ্রুত সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। একটু তো রহস্য রয়েছে। নিহতের পরিবার দাবির ওপর আমরা নির্ভর করছি না। বিষয়টি আরও গভীরভাবে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।