• মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভিডিওর জন্য পিএইচডি ছেড়ে দিচ্ছেন জারা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশ   মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাথরুম থেকে এইচএমপিভি প্রতিরোধে সতর্কতামূলক নির্দেশনা বিমানবন্দরে ১ লাখ ৬০ হাজার বছর পর দেখা মিলবে বিরল ধূমকেতুর বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের ১০ কিমি মানববন্ধন পাকিস্তানের সিন্ধু নদের অববাহিকায় মিলল স্বর্ণের খনি জীবন বাঁচাতে নিরাপধ আশ্রয়ে বাসিন্দারা, দাবানলের মধ্যেই চলছে চুরি ও লুটপাট যুক্তরাষ্ট্র এখন বেশি শক্তিশালী, দাবি বাইডেনের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের

জাহাজে করে ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

মিয়ানমারে গোলাগুলির কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ৯ দিন পর অবশেষে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে চাল ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য।

প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে পাঠানো হয়েছে ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য। একইসঙ্গে টেকনাফে আটকে পড়া দেড়শ যাত্রীও ফিরে যাচ্ছে এ প্রবাল দ্বীপে।

শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে একের পর এক ট্রাক ভিড়তে দেখা যায়। এসব ট্রাকে রয়েছে চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।

মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে গেল ৯ দিন সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যায়নি খাদ্যপণ্য। যার কারণে দ্বীপে দেখা দেয় খাদ্যসংকট। প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে সেখানে খাদ্যপণ্য পৌঁছানো হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই চাল ও ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন আর দ্বীপে খাদ্যসংকট থাকবে না।

খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি দ্বীপে ফিরে যাচ্ছে টেকনাফে আটকেপড়া অনেক বাসিন্দা। নিরাপদে দ্বীপে ফিরে যেতে ব্যবস্থা করায় দারুণ খুশি তারা। তবে তাদের দাবি, জাহাজটি যাতে মিয়ানমারের সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলাচল করে।

দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, নিরাপদে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে পারছি, খুবই ভালো লাগছে। ১০ দিন টেকনাফে আটকে ছিলাম; এখন দ্বীপে ফিরছি।

প্রশাসন ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজে পাঠানো খাদ্য দিয়ে আগামী একমাস দ্বীপের বাসিন্দারা চলতে পারবে। আর প্রশাসন চাইলে জাহাজটি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন চলাচল করবে।

এমভি বারো আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, প্রশাসন যতদিন চাইবে, ততদিনই কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল করবে। এ জাহাজের ১২ মাস চলাচলের সক্ষমতা রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, আপাতত বিশেষ ব্যবস্থায় খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এসব পণ্য আগামী একমাস চলবে। পরে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বঙ্গোপসাগর হয়ে ৪টি ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরেছে ৩০০ যাত্রী, আর টেকনাফ থেকে দ্বীপে ফিরে যায় ২০০ বাসিন্দা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ