চলতি বছরের নভেম্বরে হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে ৫ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে বসবাসকারী দম্পতিরা এই বৈধতা পাবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে খুবই কার্যকর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করেছে, বাইডেন প্রশাসন আগামী মাসগুলোতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দিষ্ট কিছু স্বামী–স্ত্রীকে বৈধতা ছাড়াই স্থায়ী বসবাস ও এরপর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অনুমতি দেবে। মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, এর সংখ্যা পাঁচ লাখ হতে পারে। বৈধতা পাওয়া ব্যক্তিরা একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতিও পাবেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি বাইডেন প্রশাসন।
এর আগে ২০১২ সালে ওবামা প্রশাসন ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল বা ডাকা ঘোষণা করার পর এটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ কর্মসূচি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউজ বলছে, এর মাধ্যমে পাঁচ লাখেরও বেশি স্বামী–স্ত্রীর পাশাপাশি ২১ বছরের কম বয়সী ৫০ হাজার যুবকও বৈধতা পাবেন, যাদের মা-বাবার একজন মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে বিবাহিত।
ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোর তথ্য অনুসারে, প্রায় ১১ লাখ স্বামী–স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। গ্রুপগুলো বলেছে, তাদের মার্কিন নাগরিক করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১৬ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।
বৃহত্তর অভিবাসন সংস্কার প্যাকেজের অংশ হিসেবে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীর নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। এই বছরের শুরুর দিকে সিনেটে উত্থাপিত একটি পৃথক দ্বিদলীয় বিল প্রশাসনের সমর্থন অর্জন করেছিলো। কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধিতায় তা পাস করা সম্ভব হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের নতুন পরিকল্পনারও ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়বে। এরই মধ্যে রিপাবলিকানরা অভিযোগ তুলেছে, প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।