গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। সেখানকার স্কুল, আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, মসজিদে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় শিক্ষাখাতের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাজার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের ৪৩০ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী।
এখন পর্যন্ত গাজার সাড়ে তিনশ শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানকার ৩০৭টি স্কুল ভবনের ২৮৬টি ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকজনের ওপর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং আরও ৫০ জন আহত হয়েছে। ওই এলাকাকে নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা দিয়েও সেখানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৪৩১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন।
এদিকে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের ওপর মানুষের সমর্থন আগের চেয়ে আরও বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই বহু দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। নতুন করে এই তালিকায় এবার যুক্ত হলো আর্মেনিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত এপ্রিলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব তোলা হয়। সেখানে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪৩টি দেশই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।