পাঁচ মাস বয়সী আবদুল আজিজ আল-হোরানি, উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে, তার ছোট্ট শরীরে অপুষ্টির লক্ষণ স্পষ্ট।
মাত্র তিন কেজি (৬.৬ পাউন্ড) ওজনের, আবদুল আজিজ সম্প্রতি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) থেকে ছাড়া পেয়েছে। সেখানে তাকে গুরুতর অপুষ্টির জন্য চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তার মা বলছেন তিনি গাজায় তার প্রয়োজনীয় খাবার পাচ্ছেন না।
‘ও আমার একমাত্র সন্তান। ওজন কমপক্ষে পাঁচ কেজি (১১ পাউন্ড) হওয়া উচিত এবং আমি ওর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমি ওকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারছি না, কারণ সীমান্ত বন্ধ,’ বলেন তিনি।
আবদুল আজিজের গল্পটি অবশ্য ভিন্ন কিছু নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী আট হাজারেরও বেশি শিশুর তীব্র অপুষ্টি শনাক্ত হয় এবং চিকিৎসা করা হয়- এর মধ্যে ১৬০০ ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
গত সপ্তাহে, ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই অপুষ্টির কারণে ৩২টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২৮টিই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।’