বিশ্ব বাজারে হস্তশিল্পের চাহিদা বাড়লেও, পর্যাপ্ত পুঁজি ও প্রশিক্ষণের অভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না হস্ত ও কারুশিল্পের উদ্যোক্তারা। ব্যাংক ঋণ না পাওয়ায় বেশিরভাগকেই হতে হচ্ছে নন গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন (এনজিও) নির্ভর। রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এই খাতে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
পাট ও হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের গৃহস্থালি পণ্য। যা রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও ২০১৬ সালে নিজ এলাকা দিনাজপুরের পূর্ব বাসুলী গ্রামে কারুশিল্পের একটি প্রতিষ্ঠানটি দেন কায়দুজ্জামান আজাদ। তিনি বলেন, এ শিল্প নিয়ে কাজ করে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও অন্য উদ্যোক্তারা নানা সমস্যায় পড়ছেন। পুঁজি, ঋণ ও প্রশিক্ষণের অভাবে এগোতে পারছেন না তারা। বেশিরভাগকেই হতে হচ্ছে এনজিও নির্ভর।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভাষ্য, দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি এই খাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, সরকারকে আমদানিমুখী না হয়ে এই খাতে গবেষণা ও প্রণোদনা বাড়াতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯ সালে এসব পণ্যের রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনাও ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়।