গ্যাস অনুসন্ধান কাজ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে থাকলেও আরও দ্রুততার সাথে বেশি অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোমেশন কার্যক্রম অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন ও অনুসন্ধান বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তেল পরিবহনের জন্য পাইপলাইন হচ্ছে, আরও হবে। এগুলোর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভার্চুয়ালি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের মে ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। দেশে বিদ্যমান প্রায় ২২০০ পেট্রোল পাম্প নিয়মিত পরিদর্শন করা হয় না ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছে। তেলের অপচয় ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করতে তেল পরিবহনের যানবাহনগুলোকে নিয়মিত অডিট করা উচিত। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কাজ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে থাকলেও আরও দ্রুতদের সাথে বেশি অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। প্রয়োজনে আরও রিগ ক্রয় বা ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় এবিভাগের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রতিটি কাজেরই সিদ্ধান্ত দ্রুততার সাথে নিতে হবে। প্রয়োজনে ওভার ল্যাপিং করে কাজ করলে দ্রুততার সাথে সাফল্য পাওয়া যাবে।
এ সময় সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন দফতর সংস্থা ও কোম্পানির প্রধানরা।
প্রসঙ্গত, মে ২০২৪ পর্যন্ত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯২.৪৫ শতাংশ। আর জাতীয় অগ্রগতি ৫৭.৫৪%. জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম সভায় জানান, বিগত দুই বছরের ন্যায় এ বছরও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ শতভাগের বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করবে।